Tuesday, June 15, 2021

যাদের রক্ত নেওয়া যাবে না

 

যাদের রক্ত নেওয়া যাবে না


হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইডসসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী জীবাণু সহজেই রক্তের মাধ্যমে রক্তগ্রহীতার দেহে প্রবেশ করতে পারে।
হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইডসসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী জীবাণু সহজেই রক্তের মাধ্যমে রক্তগ্রহীতার দেহে প্রবেশ করতে পারে। ফাইল ছবি

জীবন রক্ষার অন্যতম উপায় রক্ত পরিসঞ্চালন কখনো কখনো তৈরি করতে পারে জটিলতা। নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন রক্ত গ্রহীতার তার জন্য যেমন প্রয়োজন, আবার রক্তদাতার জন্যও প্রযোজ্য।

 এ ব্যাপারে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের হেমোটলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সালমা আফরোজ বলেন, রক্তের মাধ্যমে অনেক ধরনের রোগ একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে যেতে পারে। সেজন্য রক্ত নেওয়ার আগে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে হয়। যেমন- এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা, জন্ডিস, পালস রেট, রক্তচাপ, শরীরের তাপমাত্রা, ওজন, হিমোগ্লোবিন টেস্ট, ব্লাড সুগার বা চিনির মাত্রা পরিমাপ করা, ইসিজি। এ পরীক্ষাগুলো খুব সাধারণ।

ডা. সালমা আফরোজ বলেন, যারা রক্ত দেয় তাদের অবশ্যই দেখতে হবে, যে রক্ত নিচ্ছে, তার জন্য রক্ত গ্রহণ অপরিহার্য কিনা। কারণ অনেকে রক্ত গ্রহণ করাটাকে একটা ব্যবসাতে পরিণত করেছে। রক্ত নিলে সাধারণত একটা লাভ। যে উপাদানটি কম আছে, সেটা বৃদ্ধি পায়। যেমন যার হিমোগ্লোবিন কম, তার হিমোগ্লোবিন বাড়ে। কারো রক্তের সাদা অংশ থেকে প্লাটিলেট দিতে হয়, সেটা বাড়ে।

তিনি বলেন, রক্তবাহিত রোগের সংক্রমণ এখনো একটি প্রধান সমস্যা। হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইডসসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী জীবাণু সহজেই রক্তের মাধ্যমে রক্তগ্রহীতার দেহে প্রবেশ করতে পারে।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এই পরিস্থিতির মূল কারণ রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে রক্তটি জীবাণুমুক্ত কিনা, তা যথাযথভাবে পরীক্ষা না করা। অনুমোদনহীন এসব রক্ত বিক্রি করা হয়। আর তা আসে মূলত নেশাগ্রস্ত পেশাদার রক্তদানকারীদের থেকে। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত বা ভেজাল রক্তও বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংক থেকেই আসে।

যে সকল রোগীদের রক্ত নেওয়াটা অপরিহার্য নয়, তাদেরকে রক্ত না নেওয়ার পরামর্শ দেন অধ্যাপক ডা. সালমা আফরোজ। কারণ কার শরীরে কী জীবাণা আছে তা গ্রহীতা জানে না।

তিনি আরও বলেন, অনেক সময়, যাদের কিছুদিন পরপর রক্ত নিতে হয়, তাদের দেহে লৌহের আধিক্যসহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও অধিক রক্ত দ্রুত প্রবেশ করলে বৃদ্ধ অথবা হৃদরোগীর হার্ট ফেইলিউর জাতীয় সমস্যা হতে পারে।

যাদের রক্ত নেয়া যাবে না:

১. হেপাটাইটিস বি’ এবং সি’ রোগে যারা ভুগছেন

২. হিমেফেলিয়াতে যারা ভুগছেন

৩. ক্যানসারের রোগী

৪. যারা মাদক গ্রহণ করেন

৫. মানসিক ভারসাম্যহীন

৬. যাদের অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট আছে, অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ যেমন- অ্যাজমা, হাঁপানি যাদের আছে

৭. মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন সময়ে, গর্ভবতী অবস্থায় ও সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ১ বছর পর পর্যন্ত রক্তদান করা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

৮. যাদের এইচআইভি পজিটিভ তথা এইডস আছে

৯. যাদের ওজন গত ২ মাসে ৪ কেজি কমে গেছে

১০. ৬ মাসের মধ্যে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বা অপারেশন হয়েছে।

এছাড়াও লিভারের রোগী, যক্ষ্মার রোগী, লেপ্রসি, মৃগী রোগী, পলিসাইথেমিয়া ভেরা প্রভৃতি রোগ থাকলে তাদের রক্ত নেয়া যাবে না।

Sunday, June 13, 2021

শুক্রাণু বাড়বে ও পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর হয় যেসব খাবারে

 

শুক্রাণু বাড়বে ও পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর হয় যেসব খাবারে

শুক্রাণুর প্রতিকী ছবি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি মিলিলিটারে ১৫ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকলে সেটিকে পরিপক্ব শুক্রাণু বলে। এর চেয়ে নিচে নেমে গেলে তা অস্বাভাবিক। আর শুক্রাণুর গুণগত মান কম হলে পুরুষের বন্ধ্যত্ব হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দেহে ভিটামিন ও জিংকের ঘাটতি থাকলে পুরুষের বন্ধ্যত্ব হতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলে শুক্রাণুর গুণগত মান বাড়ে। শুক্রাণুর গুণগত মান বাড়াতে কিছু খাবারের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিকেল নিউজ টুডে ও মম জাঙ্কশন কিছু তথ্য দিয়েছে। যেমন-

টমেটো

টমেটোর মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন। এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুক্রাণুর গুণগত মান বাড়াতে কাজ করে। টমেটো রান্নার ক্ষেত্রে জলপাইয়ের তেলও দিতে পারেন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শোষণ ভালো হয়।

ওয়ালনাট

ওয়ালনাটের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। সোসাইটি ফর দ্য স্টাডি অব রিপ্রোডাকশনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৭০ গ্রাম ওয়ালনাট খাওয়া ২১ থেকে ৩৫ বছরের পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর জীবনীশক্তি, ক্ষিপ্রতা বাড়ায়। ওয়ালনাট সালাদের সঙ্গে খেতে পারেন। এ ছাড়া স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন এ সুস্বাদু বাদামটি।

কুমড়ো বীজ

কুমড়ো বীজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড ও ফাইটোসটেরল। এ খাবারটি পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। গবেষণায় দেখা যায়, কুমড়ো বীজে থাকা উপাদান টেসটোসটেরোন হরমোনের সিরামের মাত্রা বাড়ায়। এ ছাড়া শুক্রাণুর মাত্রা, জীবনীশক্তি, ক্ষিপ্রতা বাড়াতে কাজ করে।

আনার

আনারের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় বলা হয়, এটি টেসটোসটেরন ও শুক্রাণুর গুণগত মান বাড়াতে উপকারী।

কালো চকলেট

কালো চকলেটে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড এল-আরজিন। এটি শুক্রাণুর মাত্রা ও বীর্যের পরিমাণ বাড়ানোর উপাদান হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া এর মধ্যে উচ্চ পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে। ফ্রি র‍্যাডিকেল শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে। প্রতিদিন এক কামড় কালো চকলেটও শুক্রাণুর মান বাড়াতে উপকারী।

Saturday, June 12, 2021

কিভাবে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম?

 

কিভাবে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম?

কিভাবে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম?


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাদা রক্তকণিকা, লিম্ফ নোড এবং অ্যান্টিবডি দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে এবং শরীরকে বাহ্যিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখে আপনি বুঝবেন যে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

ঘন ঘন সংক্রমিত- 
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, যে প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত বছরে দুই থেকে তিনবার সাধারণ সর্দিতে ভুগতে পারেন। তবে যাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে প্রায় সারা বছর জুড়ে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা- 
বিজ্ঞানের মতে, প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হজমের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই সঠিক খাবার না খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে ঘন ঘন।

পেশীতে ব্যাথা- 
শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে আপনি রক্তনালীতে প্রদাহ, ভ্যাসকুলাইটিসের সমস্যায় ভুগতে পারেন। এতে করে পেশীতে ব্যাথা হবে।

অবসাদ- 
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলেও অনেকের খুব শরীর দুর্বল লাগে সারাদিন। বলা যায় যে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য আপনার সারাদিন ঘুম ভাব থাকে বজায়। এতে করে শরীর ক্লান্ত হবে ধীরে ধীরে ও আপনার মনমেজাজ ভালো থাকবে না।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা- 
অনেকে খুব সাধারণ ব্যাপারেই সারাক্ষন দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। আপনার যদি যে কোন বিষয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হয় তবে তা ভালো লক্ষণ না এটাও জেনে রাখুন। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এমন হতে হতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়তে পারে।

গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে যা করবেন

 

গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে যা করবেন

 

মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে মাছ না হলে চলে না। নিত্যদিনের ব্যস্ততার মধ্যে, তাড়াহুড়োয় কাঁটা বাছার ঝামেলা এড়াতেই মাছ খেতে চান না অনেকে।

ইলিশের স্বাদও অনেকে দূরে সরিয়ে রাখেন শুধু অতিরিক্ত কাঁটার জন্য। তৃপ্তিভরে মাছ ভাত খেতে গিয়ে হঠাৎ গলায় কাঁটা বিঁধে গেলেই সর্বনাশ!

অনেকেই গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাঁটা দূর করার সহজ উপায় হিসাবে এক দলা সাদা ভাতের মণ্ড খেয়ে থাকেন। নরম ছোট কাঁটা হলে এতে অনেক সময় নেমেও যায়। তবে এ ছাড়াও বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়ে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা দূর করা যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব ঘরোয়া উপায়গুলো…….

• গলায় কাঁটা বিঁধলে দেরি না করে অল্প অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। অলিভ অয়েল অন্য তেলের তুলনায় বেশি পিচ্ছিল। তাই গলা থেকে কাঁটা পিছলে নেমে যাবে সহজেই।

• গলায় কাঁটা আটকালে হালকা গরম পানিতে একটু লেবুর রস মিশিয়ে খান। লেবুর অ্যাসিডিক ক্ষমতা কাঁটাকে নরম করে দেয়। তাই গরম পানিতে একটু লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কাঁটা নরম হয়ে নামবে সহজেই।

• পানির সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে নিন। ভিনিগার গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটাকে নরম করার ক্ষমতা রাখে। তাই পানির সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে খেলে কাঁটা সহজেই নেমে যায়।

• লবণও কাঁটা নরম করে। তবে শুধু লবণ না খেয়ে পানিতে মেশিয়ে নিন। প্রথমে একটু পানি সামান্য উষ্ণ গরম করে নিয়ে সেই পানিতে বেশ খানিকটা লবণ মিশিয়ে নিন। এই উষ্ণ লবণ-পানি খেলে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা সহজেই নেমে যাবে।

ফ্রিজে ডিম রাখুন সঠিক নিয়মে


 

ফ্রিজে ডিম রাখুন সঠিক নিয়মে

 
ফ্রিজে ডিম রাখুন সঠিক নিয়মে
ছবি : সংগৃহীত

করোনার সময় ডিম খেতে বলছেন চিকিৎসকরা। তাই একবারে বেশি করে ডিম কিনে বাড়িতে মজুত রাখতে হচ্ছে। কারণ প্রতিদিন বাজারে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে বেশিরভাগ মানুষই ভুল পদ্ধতিতে ফ্রিজে ডিম রাখেন। তাই ডিম তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। জেনে নিন ফ্রিজে কিভাবে রাখলে বেশি দিন ভালো থাকবে ডিম।

ফ্রিজে ডিম রাখার নির্দিষ্ট একটি জায়গা রয়েছে। হিসেব মতো সেখানে ডিম রাখার ব্যবস্থা থাকে। ফলে সকলে সেখানেই ডিম রাখেন।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ফ্রিজের ওই নির্দিষ্ট জায়গায় তাপমাত্রা উঠা নামা করে৷ ফলে ডিম রাখার জন্য সঠিক যে তাপমাত্রা প্রয়োজন, সেটা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে বেশি দিন ডিম থাকলে তা নষ্ট হতে থাকে।

এই রকম ডিম খেলে যে শরীরের উপকার থেকে ক্ষতিই বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি বেশি দিন ডিম রাখতে হয় তাহলে ফ্রিজের দরজায় ডিম না রাখাই ভালো। কিন্তু কীভাবে রাখবেন ডিম?

একটি এয়ারটাইট পাত্রে ডিমগুলো রেখে, ঢাকা বন্ধ করে ফ্রিজের কোনো একটি তাকে রাখুন। এভাবে রাখলে সঠিক মাত্রায় ঠাণ্ডা থাকবে ডিমগুলো এবং নিশ্চিন্তে অনেকদিন সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।

এতো গেল রান্না না করা ডিমের কথা। রান্না করা ডিম ভুলেও তিন থেকে চারদিনের বেশি ফ্রিজে রাখবেন না। এতে ডিমের গুণ সব নষ্ট হয়ে যায়। এমন ডিম খেলে আদতে কোনো উপকারই হয় না, উল্টো আপনার পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।