Tuesday, June 15, 2021

যাদের রক্ত নেওয়া যাবে না

 

যাদের রক্ত নেওয়া যাবে না


হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইডসসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী জীবাণু সহজেই রক্তের মাধ্যমে রক্তগ্রহীতার দেহে প্রবেশ করতে পারে।
হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইডসসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী জীবাণু সহজেই রক্তের মাধ্যমে রক্তগ্রহীতার দেহে প্রবেশ করতে পারে। ফাইল ছবি

জীবন রক্ষার অন্যতম উপায় রক্ত পরিসঞ্চালন কখনো কখনো তৈরি করতে পারে জটিলতা। নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন রক্ত গ্রহীতার তার জন্য যেমন প্রয়োজন, আবার রক্তদাতার জন্যও প্রযোজ্য।

 এ ব্যাপারে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের হেমোটলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সালমা আফরোজ বলেন, রক্তের মাধ্যমে অনেক ধরনের রোগ একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে যেতে পারে। সেজন্য রক্ত নেওয়ার আগে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে হয়। যেমন- এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা, জন্ডিস, পালস রেট, রক্তচাপ, শরীরের তাপমাত্রা, ওজন, হিমোগ্লোবিন টেস্ট, ব্লাড সুগার বা চিনির মাত্রা পরিমাপ করা, ইসিজি। এ পরীক্ষাগুলো খুব সাধারণ।

ডা. সালমা আফরোজ বলেন, যারা রক্ত দেয় তাদের অবশ্যই দেখতে হবে, যে রক্ত নিচ্ছে, তার জন্য রক্ত গ্রহণ অপরিহার্য কিনা। কারণ অনেকে রক্ত গ্রহণ করাটাকে একটা ব্যবসাতে পরিণত করেছে। রক্ত নিলে সাধারণত একটা লাভ। যে উপাদানটি কম আছে, সেটা বৃদ্ধি পায়। যেমন যার হিমোগ্লোবিন কম, তার হিমোগ্লোবিন বাড়ে। কারো রক্তের সাদা অংশ থেকে প্লাটিলেট দিতে হয়, সেটা বাড়ে।

তিনি বলেন, রক্তবাহিত রোগের সংক্রমণ এখনো একটি প্রধান সমস্যা। হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইডসসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী জীবাণু সহজেই রক্তের মাধ্যমে রক্তগ্রহীতার দেহে প্রবেশ করতে পারে।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এই পরিস্থিতির মূল কারণ রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে রক্তটি জীবাণুমুক্ত কিনা, তা যথাযথভাবে পরীক্ষা না করা। অনুমোদনহীন এসব রক্ত বিক্রি করা হয়। আর তা আসে মূলত নেশাগ্রস্ত পেশাদার রক্তদানকারীদের থেকে। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত বা ভেজাল রক্তও বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংক থেকেই আসে।

যে সকল রোগীদের রক্ত নেওয়াটা অপরিহার্য নয়, তাদেরকে রক্ত না নেওয়ার পরামর্শ দেন অধ্যাপক ডা. সালমা আফরোজ। কারণ কার শরীরে কী জীবাণা আছে তা গ্রহীতা জানে না।

তিনি আরও বলেন, অনেক সময়, যাদের কিছুদিন পরপর রক্ত নিতে হয়, তাদের দেহে লৌহের আধিক্যসহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও অধিক রক্ত দ্রুত প্রবেশ করলে বৃদ্ধ অথবা হৃদরোগীর হার্ট ফেইলিউর জাতীয় সমস্যা হতে পারে।

যাদের রক্ত নেয়া যাবে না:

১. হেপাটাইটিস বি’ এবং সি’ রোগে যারা ভুগছেন

২. হিমেফেলিয়াতে যারা ভুগছেন

৩. ক্যানসারের রোগী

৪. যারা মাদক গ্রহণ করেন

৫. মানসিক ভারসাম্যহীন

৬. যাদের অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট আছে, অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ যেমন- অ্যাজমা, হাঁপানি যাদের আছে

৭. মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন সময়ে, গর্ভবতী অবস্থায় ও সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ১ বছর পর পর্যন্ত রক্তদান করা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

৮. যাদের এইচআইভি পজিটিভ তথা এইডস আছে

৯. যাদের ওজন গত ২ মাসে ৪ কেজি কমে গেছে

১০. ৬ মাসের মধ্যে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বা অপারেশন হয়েছে।

এছাড়াও লিভারের রোগী, যক্ষ্মার রোগী, লেপ্রসি, মৃগী রোগী, পলিসাইথেমিয়া ভেরা প্রভৃতি রোগ থাকলে তাদের রক্ত নেয়া যাবে না।

Sunday, June 13, 2021

শুক্রাণু বাড়বে ও পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর হয় যেসব খাবারে

 

শুক্রাণু বাড়বে ও পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর হয় যেসব খাবারে

শুক্রাণুর প্রতিকী ছবি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি মিলিলিটারে ১৫ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকলে সেটিকে পরিপক্ব শুক্রাণু বলে। এর চেয়ে নিচে নেমে গেলে তা অস্বাভাবিক। আর শুক্রাণুর গুণগত মান কম হলে পুরুষের বন্ধ্যত্ব হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দেহে ভিটামিন ও জিংকের ঘাটতি থাকলে পুরুষের বন্ধ্যত্ব হতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলে শুক্রাণুর গুণগত মান বাড়ে। শুক্রাণুর গুণগত মান বাড়াতে কিছু খাবারের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিকেল নিউজ টুডে ও মম জাঙ্কশন কিছু তথ্য দিয়েছে। যেমন-

টমেটো

টমেটোর মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন। এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুক্রাণুর গুণগত মান বাড়াতে কাজ করে। টমেটো রান্নার ক্ষেত্রে জলপাইয়ের তেলও দিতে পারেন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শোষণ ভালো হয়।

ওয়ালনাট

ওয়ালনাটের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। সোসাইটি ফর দ্য স্টাডি অব রিপ্রোডাকশনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৭০ গ্রাম ওয়ালনাট খাওয়া ২১ থেকে ৩৫ বছরের পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর জীবনীশক্তি, ক্ষিপ্রতা বাড়ায়। ওয়ালনাট সালাদের সঙ্গে খেতে পারেন। এ ছাড়া স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন এ সুস্বাদু বাদামটি।

কুমড়ো বীজ

কুমড়ো বীজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড ও ফাইটোসটেরল। এ খাবারটি পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। গবেষণায় দেখা যায়, কুমড়ো বীজে থাকা উপাদান টেসটোসটেরোন হরমোনের সিরামের মাত্রা বাড়ায়। এ ছাড়া শুক্রাণুর মাত্রা, জীবনীশক্তি, ক্ষিপ্রতা বাড়াতে কাজ করে।

আনার

আনারের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় বলা হয়, এটি টেসটোসটেরন ও শুক্রাণুর গুণগত মান বাড়াতে উপকারী।

কালো চকলেট

কালো চকলেটে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড এল-আরজিন। এটি শুক্রাণুর মাত্রা ও বীর্যের পরিমাণ বাড়ানোর উপাদান হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া এর মধ্যে উচ্চ পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে। ফ্রি র‍্যাডিকেল শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে। প্রতিদিন এক কামড় কালো চকলেটও শুক্রাণুর মান বাড়াতে উপকারী।

Saturday, June 12, 2021

কিভাবে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম?

 

কিভাবে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম?

কিভাবে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম?


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাদা রক্তকণিকা, লিম্ফ নোড এবং অ্যান্টিবডি দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে এবং শরীরকে বাহ্যিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখে আপনি বুঝবেন যে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

ঘন ঘন সংক্রমিত- 
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, যে প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত বছরে দুই থেকে তিনবার সাধারণ সর্দিতে ভুগতে পারেন। তবে যাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে প্রায় সারা বছর জুড়ে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা- 
বিজ্ঞানের মতে, প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হজমের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই সঠিক খাবার না খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে ঘন ঘন।

পেশীতে ব্যাথা- 
শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে আপনি রক্তনালীতে প্রদাহ, ভ্যাসকুলাইটিসের সমস্যায় ভুগতে পারেন। এতে করে পেশীতে ব্যাথা হবে।

অবসাদ- 
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলেও অনেকের খুব শরীর দুর্বল লাগে সারাদিন। বলা যায় যে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য আপনার সারাদিন ঘুম ভাব থাকে বজায়। এতে করে শরীর ক্লান্ত হবে ধীরে ধীরে ও আপনার মনমেজাজ ভালো থাকবে না।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা- 
অনেকে খুব সাধারণ ব্যাপারেই সারাক্ষন দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। আপনার যদি যে কোন বিষয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হয় তবে তা ভালো লক্ষণ না এটাও জেনে রাখুন। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এমন হতে হতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়তে পারে।

গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে যা করবেন

 

গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে যা করবেন

 

মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে মাছ না হলে চলে না। নিত্যদিনের ব্যস্ততার মধ্যে, তাড়াহুড়োয় কাঁটা বাছার ঝামেলা এড়াতেই মাছ খেতে চান না অনেকে।

ইলিশের স্বাদও অনেকে দূরে সরিয়ে রাখেন শুধু অতিরিক্ত কাঁটার জন্য। তৃপ্তিভরে মাছ ভাত খেতে গিয়ে হঠাৎ গলায় কাঁটা বিঁধে গেলেই সর্বনাশ!

অনেকেই গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাঁটা দূর করার সহজ উপায় হিসাবে এক দলা সাদা ভাতের মণ্ড খেয়ে থাকেন। নরম ছোট কাঁটা হলে এতে অনেক সময় নেমেও যায়। তবে এ ছাড়াও বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়ে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা দূর করা যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব ঘরোয়া উপায়গুলো…….

• গলায় কাঁটা বিঁধলে দেরি না করে অল্প অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। অলিভ অয়েল অন্য তেলের তুলনায় বেশি পিচ্ছিল। তাই গলা থেকে কাঁটা পিছলে নেমে যাবে সহজেই।

• গলায় কাঁটা আটকালে হালকা গরম পানিতে একটু লেবুর রস মিশিয়ে খান। লেবুর অ্যাসিডিক ক্ষমতা কাঁটাকে নরম করে দেয়। তাই গরম পানিতে একটু লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কাঁটা নরম হয়ে নামবে সহজেই।

• পানির সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে নিন। ভিনিগার গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটাকে নরম করার ক্ষমতা রাখে। তাই পানির সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে খেলে কাঁটা সহজেই নেমে যায়।

• লবণও কাঁটা নরম করে। তবে শুধু লবণ না খেয়ে পানিতে মেশিয়ে নিন। প্রথমে একটু পানি সামান্য উষ্ণ গরম করে নিয়ে সেই পানিতে বেশ খানিকটা লবণ মিশিয়ে নিন। এই উষ্ণ লবণ-পানি খেলে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা সহজেই নেমে যাবে।

ফ্রিজে ডিম রাখুন সঠিক নিয়মে


 

ফ্রিজে ডিম রাখুন সঠিক নিয়মে

 
ফ্রিজে ডিম রাখুন সঠিক নিয়মে
ছবি : সংগৃহীত

করোনার সময় ডিম খেতে বলছেন চিকিৎসকরা। তাই একবারে বেশি করে ডিম কিনে বাড়িতে মজুত রাখতে হচ্ছে। কারণ প্রতিদিন বাজারে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে বেশিরভাগ মানুষই ভুল পদ্ধতিতে ফ্রিজে ডিম রাখেন। তাই ডিম তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। জেনে নিন ফ্রিজে কিভাবে রাখলে বেশি দিন ভালো থাকবে ডিম।

ফ্রিজে ডিম রাখার নির্দিষ্ট একটি জায়গা রয়েছে। হিসেব মতো সেখানে ডিম রাখার ব্যবস্থা থাকে। ফলে সকলে সেখানেই ডিম রাখেন।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ফ্রিজের ওই নির্দিষ্ট জায়গায় তাপমাত্রা উঠা নামা করে৷ ফলে ডিম রাখার জন্য সঠিক যে তাপমাত্রা প্রয়োজন, সেটা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে বেশি দিন ডিম থাকলে তা নষ্ট হতে থাকে।

এই রকম ডিম খেলে যে শরীরের উপকার থেকে ক্ষতিই বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি বেশি দিন ডিম রাখতে হয় তাহলে ফ্রিজের দরজায় ডিম না রাখাই ভালো। কিন্তু কীভাবে রাখবেন ডিম?

একটি এয়ারটাইট পাত্রে ডিমগুলো রেখে, ঢাকা বন্ধ করে ফ্রিজের কোনো একটি তাকে রাখুন। এভাবে রাখলে সঠিক মাত্রায় ঠাণ্ডা থাকবে ডিমগুলো এবং নিশ্চিন্তে অনেকদিন সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।

এতো গেল রান্না না করা ডিমের কথা। রান্না করা ডিম ভুলেও তিন থেকে চারদিনের বেশি ফ্রিজে রাখবেন না। এতে ডিমের গুণ সব নষ্ট হয়ে যায়। এমন ডিম খেলে আদতে কোনো উপকারই হয় না, উল্টো আপনার পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Thursday, May 27, 2021

ঘরোয়া পদ্ধতিতে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে যা করণীয়


 শরীরের জন্য থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। এর থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই, শরীরের উপর বিভিন্ন রকমের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। তবে যথাযথ খাদ্যাভাস এবং জীবনযাত্রা ঠিক রাখার মাধ্যমে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

যারা থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে চান, তারা ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-

১. জাঙ্ক ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন। এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

২. বর্তমান যুগে এত শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল, অগোছালো জীবনযাপন করা। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। এতে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরে এবং শরীর সুস্থ থাকে।

৩. খাবার খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে, ধীরেসুস্থে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। মনোযোগ দিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া থাইরয়েড এবং মনের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলে। থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের বিপাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই ধীরেসুস্থে খাবার চিবিয়ে খেলে তা বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

৪. গবেষণায় দেখা গেছে, এমন কিছু শাকসবজি আছে যেগুলি কাঁচা অবস্থায় খাওয়ার ফলে, থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ ব্যাহত হয়, যেমন - বাঁধাকপি, ব্রকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, ফুলকপি ইত্যাদি। এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খেলে থাইরয়েড গ্রন্থির ভারসাম্য নষ্ট নয়। তাই এই ধরনের সবজি কাঁচা বা স্যালাদ হিসেবে না খেয়ে, রান্না করে খান।

৫. নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। নারকেল তেল গরম না করে যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে তা ওজন হ্রাস করতে এবং বিপাকীয় ক্রিয়া বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এমনকি শরীরের তাপমাত্রাও ঠিক রাখতেও সাহায্য করে এই তেল।

৬. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার হরমোন উৎপাদনের ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে বিপাকের উন্নতি হয়। এছাড়াও, এটি শরীরের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি বের করে পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।

৭. আদায় বিভিন্ন রকম খনিজ যেমন- পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়। এটি থাইরয়েডের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে দারুন কার্যকর। থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে নিয়মিত আদা চা পান করুন।

৮. থাইরয়েডের ক্ষেত্রে ভিটামিন বি খুবই সহায়ক। বিশেষ করে ভিটামিন বি১২ হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, বাদাম অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি সরবরাহ করবে।

৯. ভিটামিন ডি'য়ের অভাবে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। সূর্যের আলোতেই শরীর একমাত্র ভিটামিন ডি প্রস্তুত করতে পারে। তাই দিনে অন্তত পক্ষে ১৫ মিনিট সূর্যের আলোয় থাকুন। এতে শরীরে ভালোভাবে ক্যালসিয়ামের শোষণ হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ কিছু খাবার হল - স্যালমন, ম্যাকারেল, দুগ্ধজাতীয় দ্রব্য, কমলালেবুর রস, ডিমের কুসুম ইত্যাদি। শরীরে যদি ভিটামিন ডি'র মাত্রা খুবই কম থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন।

১০. দুধ, পনির, দই এই ধরনের দুগ্ধজাতীয় খাবার থাইরয়েডের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এই সব খাবারে আয়োডিন এবং খনিজ বিপুল পরিমাণে থাকে যা থাইরয়েডের জন্য খুবই উপকারী। আয়োডিন সাপ্লিমেন্টও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসা ব্যয়বহুল, ওষুধও অপ্রতুল

মিউকোরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) জনিত রোগের চিকিৎসা দেশে ব্যয়বহুল। তার প্রধান কারণ ওষুধের দাম এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সেবা। এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ তৈরি করে একটি মাত্র কোম্পানি। আর তাদের কাঁচামাল আসে ভারত থেকে। তাই সেখানেও আছে অপ্রতুলতা রয়েছে। আর স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে-  ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ সহজলভ্য করতে কাজ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা এই রোগের চিকিৎসার জন্য একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করার কাজ চলছে। তবে গাইডলাইন না থাকলেও ‘বেসিক ট্রিটমেন্ট’ চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা।  

রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সন্দেহজনক রোগীর জ্বর রয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। কিন্তু চূড়ান্ত মতামত দিতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। সেখানে উপসর্গ দেখে চিকিৎসকরা ধারণা করেন তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। তবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, এটা নিশ্চিত হতে হলে তাদের সব পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

ভারতের ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ ছড়িয়েছে ব্যাপকভাবে। সেখানে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৭১৭ জন। ভারতের গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও অন্ধপ্রদেশের আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। গত সপ্তাহে ভারতে করোনাভাইরাসের রোগীদের মধ্যে মিউকরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) শনাক্ত হলে এটিকে মহামারি ঘোষণা করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে সংক্রমিত প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে। আর যারা বেঁচে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে একটি অংশের চোখ অপসারণ করতে হচ্ছে।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, এই রোগীর বয়স ৫৩ বছর। তার অ্যাজমা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। চিকিৎসা নেওয়ার পর তার অবস্থার কতটা উন্নতি  হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এখনই বলা  সম্ভব হচ্ছে না। তার চিকিৎসাটা দীর্ঘমেয়াদি। দুই থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা দিতে হয়,কিন্তু তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে মাত্র কয়েকদিন হলো।

চিকিৎসকদের মতে , ব্ল্যাকফাঙ্গাসের চিকিৎসা মূলত নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর। সেজন্য কিছু ওষুধ আছে, আবার তীব্রতা বেশি হলে ইনজেকশন প্রয়োগ হয়। এই চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় এবং রোগীর নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হয় বলে এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা নাজমুল ইসলাম বলেন, মিউকোরমাইকোসিস বা কালো ছত্রাক একটি বিরল রোগ। এটি খুব বেশি মানুষের হয় বলে তথ্য-উপাত্ত বলে না। অবশ্যই এর চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল এতে কোনও সন্দেহ নেই। বিষয়টি নিয়ে গত কিছু দিন ধরে আমরা ক্রমাগত কাজ করছি এবং একটি গাইড লাইন দেওয়ার চেষ্টা করছি। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মোকাবিলায় যেসব ওষুধ ব্যবহার করতে হয়, সেসব কীভাবে সহজলভ্য করা যায় সে বিষয়টি নিয়েও আমরা কাজ করছি। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেব। তার কারণ হলো এই ওষুধগুলো সহজে পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতির কেউ যেন সুযোগ নিতে না পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা অগ্রসর হচ্ছি।

প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ফাঙ্গাস প্রতিরোধে একটি ওষুধ আছে। আবার কোন কোন সময় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জন্য ইঞ্জেকশন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এই ওষুধের দামটি বেশি আবার অনেকেরই আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। যার কারণে চিকিৎসা ব্যয়বহুল।

তিনি আরও বলেন, এই রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে মূলত তীব্রতার ওপর। এজন্য কোন ফর্মুলা নেই। মাইল্ড রোগী, মোডারেট রোগী এবং সিভিয়ার রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থায় একেক সময় লাগে। আমরা এখন যে বেসিক ট্রিটমেন্ট দিচ্ছি এটিকেই গাইডলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইনজেকশন প্রস্তুত করে শুধুমাত্র বিকন ফারমাসিউটিক্যালস। এই ওষুধের ৫০ মি লি পরিমানের একটি ভায়ালের খুচরা মুল্য ১৫ হাজার টাকার কিছু বেশি। তবে প্রচলিত ওষুধ না হওয়ায় এর উৎপাদন এবং সরবরাহ কম। আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এগুলো প্রস্তুত করতে হয় বলে অন্য কেউ তা তৈরি করতে চায় না বলে জানিয়েছেন বিকন ফারমাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এবাদুল করিম।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এই ওষুধ প্রস্তুত করতে খুবই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়। আর এটার কাঁচামাল যেমন অনেক দামি আবার প্রযুক্তিও দামি। যার কারণে বেশি সংখ্যক কোম্পানি পারেও না এটা বানাতে। আমাদের কাছে বর্তমানে যেটুকু স্টক আছে তাই আছে। এমনিতে তো চাহিদা অনেক কমই ছিল। এখন হঠাৎ করে এখানে চাহিদা দেখা দিয়েছে। আবার বাজার থেকে অবৈধ পথে ভারতেও চলে যেতে পারে, এজন্য আমরা সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। কাঁচামালের জন্য জন্য আমরা বলেছি, তাদের আজকে জানানোর কথা। কাঁচামাল বেশিরভাগই ভারত থেকেই আসে। সেখানেও তো সংকট।  

তিনি আরও বলেন, ভারত নিজেদের চাহিদা পূরণ করেই পারছেন না। যে কারণে একটু শংকার মধ্যে আছি। আমরা আশা করি হয়তো কিছু একটা ম্যানেজ করতে পারবো। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, যারা বয়স্ক, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, তাদেরকে বেশি করে এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিকে নির্দেশনা দিয়েছি যাতে এই ফাঙ্গাসের জন্য যে ধরনের ওষুধ প্রয়োজন সেটা যেন এখন থেকেই তৈরি করে। আল্লাহ না করুক যদি এখানে রোগী বাড়ে, তাহলে যেন যথাযথ চিকিৎসা করা যায়।

প্রসঙ্গত এসব ছত্রাক পরিবেশে বিশেষ করে মাটি, পঁচে যাওয়া জৈব পদার্থ যেমন: পঁচা ফলমূল, পাতা বা পশুর বিষ্ঠায় ছড়িয়ে থাকে। এসব ছত্রাককে ল্যাবরেটরির কৃত্রিম মিডিয়াতে যখন বৃদ্ধি করা হয়, এদের রং হয় গাঢ় বাদামি বা কালো। তাই এদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক বলা হয়। এই ছত্রাকের সংক্রমণ ছোঁয়াচে নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রোগ প্রতিরোধ কম থাকা ব্যক্তিদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি


 

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের পর এখন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এরইমধ্যে দেশে এটি শনাক্ত হয়েছে এবং এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন জায়গা থেকে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

করোনায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিষয়ে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ সময় মতো চিকিৎসা না নিলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো হলো খুব বেশি মাথা ব্যাথা, চোখ ফুলে যাওয়া, কাশির সঙ্গে রক্ত আসা, রক্তবমি, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া।

বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুস শাকুর খান বলেন, এই ফাঙ্গাসটি আসলে ছোঁয়াচে না। অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস, কিডনি ডিজিস বা অন্য কোন অসুখ যার ফলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, সেই ক্ষেত্রে এই ফাঙ্গাস হবার সম্ভবনাটা বেশি থাকে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে রোগীর চিকিৎসায় সঠিকভাবে স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হবে। কারণ স্টেরয়েড যারা গ্রহণ করেছেন তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে সবাইকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করা উচিত।