Thursday, May 27, 2021

ঘরোয়া পদ্ধতিতে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে যা করণীয়


 শরীরের জন্য থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। এর থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই, শরীরের উপর বিভিন্ন রকমের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। তবে যথাযথ খাদ্যাভাস এবং জীবনযাত্রা ঠিক রাখার মাধ্যমে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

যারা থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে চান, তারা ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-

১. জাঙ্ক ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন। এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

২. বর্তমান যুগে এত শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল, অগোছালো জীবনযাপন করা। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। এতে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরে এবং শরীর সুস্থ থাকে।

৩. খাবার খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে, ধীরেসুস্থে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। মনোযোগ দিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া থাইরয়েড এবং মনের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলে। থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের বিপাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই ধীরেসুস্থে খাবার চিবিয়ে খেলে তা বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

৪. গবেষণায় দেখা গেছে, এমন কিছু শাকসবজি আছে যেগুলি কাঁচা অবস্থায় খাওয়ার ফলে, থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ ব্যাহত হয়, যেমন - বাঁধাকপি, ব্রকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, ফুলকপি ইত্যাদি। এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খেলে থাইরয়েড গ্রন্থির ভারসাম্য নষ্ট নয়। তাই এই ধরনের সবজি কাঁচা বা স্যালাদ হিসেবে না খেয়ে, রান্না করে খান।

৫. নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। নারকেল তেল গরম না করে যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে তা ওজন হ্রাস করতে এবং বিপাকীয় ক্রিয়া বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এমনকি শরীরের তাপমাত্রাও ঠিক রাখতেও সাহায্য করে এই তেল।

৬. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার হরমোন উৎপাদনের ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে বিপাকের উন্নতি হয়। এছাড়াও, এটি শরীরের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি বের করে পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।

৭. আদায় বিভিন্ন রকম খনিজ যেমন- পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়। এটি থাইরয়েডের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে দারুন কার্যকর। থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে নিয়মিত আদা চা পান করুন।

৮. থাইরয়েডের ক্ষেত্রে ভিটামিন বি খুবই সহায়ক। বিশেষ করে ভিটামিন বি১২ হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, বাদাম অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি সরবরাহ করবে।

৯. ভিটামিন ডি'য়ের অভাবে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। সূর্যের আলোতেই শরীর একমাত্র ভিটামিন ডি প্রস্তুত করতে পারে। তাই দিনে অন্তত পক্ষে ১৫ মিনিট সূর্যের আলোয় থাকুন। এতে শরীরে ভালোভাবে ক্যালসিয়ামের শোষণ হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ কিছু খাবার হল - স্যালমন, ম্যাকারেল, দুগ্ধজাতীয় দ্রব্য, কমলালেবুর রস, ডিমের কুসুম ইত্যাদি। শরীরে যদি ভিটামিন ডি'র মাত্রা খুবই কম থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন।

১০. দুধ, পনির, দই এই ধরনের দুগ্ধজাতীয় খাবার থাইরয়েডের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এই সব খাবারে আয়োডিন এবং খনিজ বিপুল পরিমাণে থাকে যা থাইরয়েডের জন্য খুবই উপকারী। আয়োডিন সাপ্লিমেন্টও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসা ব্যয়বহুল, ওষুধও অপ্রতুল

মিউকোরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) জনিত রোগের চিকিৎসা দেশে ব্যয়বহুল। তার প্রধান কারণ ওষুধের দাম এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সেবা। এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ তৈরি করে একটি মাত্র কোম্পানি। আর তাদের কাঁচামাল আসে ভারত থেকে। তাই সেখানেও আছে অপ্রতুলতা রয়েছে। আর স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে-  ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ সহজলভ্য করতে কাজ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা এই রোগের চিকিৎসার জন্য একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করার কাজ চলছে। তবে গাইডলাইন না থাকলেও ‘বেসিক ট্রিটমেন্ট’ চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা।  

রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সন্দেহজনক রোগীর জ্বর রয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। কিন্তু চূড়ান্ত মতামত দিতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। সেখানে উপসর্গ দেখে চিকিৎসকরা ধারণা করেন তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। তবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, এটা নিশ্চিত হতে হলে তাদের সব পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

ভারতের ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ ছড়িয়েছে ব্যাপকভাবে। সেখানে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৭১৭ জন। ভারতের গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও অন্ধপ্রদেশের আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। গত সপ্তাহে ভারতে করোনাভাইরাসের রোগীদের মধ্যে মিউকরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) শনাক্ত হলে এটিকে মহামারি ঘোষণা করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে সংক্রমিত প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে। আর যারা বেঁচে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে একটি অংশের চোখ অপসারণ করতে হচ্ছে।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, এই রোগীর বয়স ৫৩ বছর। তার অ্যাজমা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। চিকিৎসা নেওয়ার পর তার অবস্থার কতটা উন্নতি  হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এখনই বলা  সম্ভব হচ্ছে না। তার চিকিৎসাটা দীর্ঘমেয়াদি। দুই থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা দিতে হয়,কিন্তু তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে মাত্র কয়েকদিন হলো।

চিকিৎসকদের মতে , ব্ল্যাকফাঙ্গাসের চিকিৎসা মূলত নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর। সেজন্য কিছু ওষুধ আছে, আবার তীব্রতা বেশি হলে ইনজেকশন প্রয়োগ হয়। এই চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় এবং রোগীর নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হয় বলে এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা নাজমুল ইসলাম বলেন, মিউকোরমাইকোসিস বা কালো ছত্রাক একটি বিরল রোগ। এটি খুব বেশি মানুষের হয় বলে তথ্য-উপাত্ত বলে না। অবশ্যই এর চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল এতে কোনও সন্দেহ নেই। বিষয়টি নিয়ে গত কিছু দিন ধরে আমরা ক্রমাগত কাজ করছি এবং একটি গাইড লাইন দেওয়ার চেষ্টা করছি। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মোকাবিলায় যেসব ওষুধ ব্যবহার করতে হয়, সেসব কীভাবে সহজলভ্য করা যায় সে বিষয়টি নিয়েও আমরা কাজ করছি। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেব। তার কারণ হলো এই ওষুধগুলো সহজে পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতির কেউ যেন সুযোগ নিতে না পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা অগ্রসর হচ্ছি।

প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ফাঙ্গাস প্রতিরোধে একটি ওষুধ আছে। আবার কোন কোন সময় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জন্য ইঞ্জেকশন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এই ওষুধের দামটি বেশি আবার অনেকেরই আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। যার কারণে চিকিৎসা ব্যয়বহুল।

তিনি আরও বলেন, এই রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে মূলত তীব্রতার ওপর। এজন্য কোন ফর্মুলা নেই। মাইল্ড রোগী, মোডারেট রোগী এবং সিভিয়ার রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থায় একেক সময় লাগে। আমরা এখন যে বেসিক ট্রিটমেন্ট দিচ্ছি এটিকেই গাইডলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইনজেকশন প্রস্তুত করে শুধুমাত্র বিকন ফারমাসিউটিক্যালস। এই ওষুধের ৫০ মি লি পরিমানের একটি ভায়ালের খুচরা মুল্য ১৫ হাজার টাকার কিছু বেশি। তবে প্রচলিত ওষুধ না হওয়ায় এর উৎপাদন এবং সরবরাহ কম। আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এগুলো প্রস্তুত করতে হয় বলে অন্য কেউ তা তৈরি করতে চায় না বলে জানিয়েছেন বিকন ফারমাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এবাদুল করিম।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এই ওষুধ প্রস্তুত করতে খুবই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়। আর এটার কাঁচামাল যেমন অনেক দামি আবার প্রযুক্তিও দামি। যার কারণে বেশি সংখ্যক কোম্পানি পারেও না এটা বানাতে। আমাদের কাছে বর্তমানে যেটুকু স্টক আছে তাই আছে। এমনিতে তো চাহিদা অনেক কমই ছিল। এখন হঠাৎ করে এখানে চাহিদা দেখা দিয়েছে। আবার বাজার থেকে অবৈধ পথে ভারতেও চলে যেতে পারে, এজন্য আমরা সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। কাঁচামালের জন্য জন্য আমরা বলেছি, তাদের আজকে জানানোর কথা। কাঁচামাল বেশিরভাগই ভারত থেকেই আসে। সেখানেও তো সংকট।  

তিনি আরও বলেন, ভারত নিজেদের চাহিদা পূরণ করেই পারছেন না। যে কারণে একটু শংকার মধ্যে আছি। আমরা আশা করি হয়তো কিছু একটা ম্যানেজ করতে পারবো। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, যারা বয়স্ক, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, তাদেরকে বেশি করে এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিকে নির্দেশনা দিয়েছি যাতে এই ফাঙ্গাসের জন্য যে ধরনের ওষুধ প্রয়োজন সেটা যেন এখন থেকেই তৈরি করে। আল্লাহ না করুক যদি এখানে রোগী বাড়ে, তাহলে যেন যথাযথ চিকিৎসা করা যায়।

প্রসঙ্গত এসব ছত্রাক পরিবেশে বিশেষ করে মাটি, পঁচে যাওয়া জৈব পদার্থ যেমন: পঁচা ফলমূল, পাতা বা পশুর বিষ্ঠায় ছড়িয়ে থাকে। এসব ছত্রাককে ল্যাবরেটরির কৃত্রিম মিডিয়াতে যখন বৃদ্ধি করা হয়, এদের রং হয় গাঢ় বাদামি বা কালো। তাই এদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক বলা হয়। এই ছত্রাকের সংক্রমণ ছোঁয়াচে নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রোগ প্রতিরোধ কম থাকা ব্যক্তিদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি


 

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের পর এখন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এরইমধ্যে দেশে এটি শনাক্ত হয়েছে এবং এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন জায়গা থেকে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

করোনায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিষয়ে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ সময় মতো চিকিৎসা না নিলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো হলো খুব বেশি মাথা ব্যাথা, চোখ ফুলে যাওয়া, কাশির সঙ্গে রক্ত আসা, রক্তবমি, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া।

বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুস শাকুর খান বলেন, এই ফাঙ্গাসটি আসলে ছোঁয়াচে না। অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস, কিডনি ডিজিস বা অন্য কোন অসুখ যার ফলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, সেই ক্ষেত্রে এই ফাঙ্গাস হবার সম্ভবনাটা বেশি থাকে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে রোগীর চিকিৎসায় সঠিকভাবে স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হবে। কারণ স্টেরয়েড যারা গ্রহণ করেছেন তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে সবাইকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করা উচিত।

Sunday, May 23, 2021

Microscopic Findings

 

 

 

 

 

 

Neutrophil

 

 



 


Human All Literature



করোনার ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট' লেখা যাবে না, সোশ্যাল মিডিয়াকে ভারত সরকারের নির্দেশ

 


করোনাভাইরাসের (Covid-19) B.1.617 স্ট্রেইন মোটেই ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’নয়। করোনার অন্যতম ভয়ংকর এই স্ট্রেইনকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে। আর তাই সমস্ত  সোশ্যাল  মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের যে সমস্ত কনটেন্ট বা প্রতিবেদনে এই নয়া স্ট্রেইনকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বা ডাকা হয়েছে বা উদ্ধৃত করা হয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে। শুক্রবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে একথা নিশ্চিত করে বলা হয়- শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনার B.1.617 ভ্যারিয়েন্টকে কখনোই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আখ্যা দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। অথচ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একাধিক পোস্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভয়ানক হয়ে ওঠা B.1.617 ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ বলা হয়েছে। একাধিক ভুয়া পোস্ট ছড়ানো হচ্ছে। অবিলম্বে সেই পোস্টগুলো মুছে ফেলতে হবে। এমনকি এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তাই যত দ্রুত সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে এই নির্দেশ মানতে হবে।

অনুমতি ছাড়াই চলে নমুনা পরীক্ষা করোনা কেলেঙ্কারিতে শিশু হাসপাতাল

 


facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button

কোভিড-১৯-এর নমুনা পরীক্ষা কেলেঙ্কারির সঙ্গে শিশু হাসপাতালও জড়িয়ে পড়েছে। তাদের নাম ভাঙিয়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অন্য জায়গা থেকে নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত শিশু হাসপাতালের দুই কর্মকর্তা। তাদের সহায়তায় পরিচালকের অনুমতি ছাড়াই গত বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম।

বেসরকারি এ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিটি নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে নিয়েছে ৫ হাজার টাকা। তারা এগুলো পরীক্ষার জন্য শিশু হাসপাতালের নামে (রেফারেন্সসহ) পাঠাত চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে। সেখানে প্রতিটি নমুনার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা পরিশোধ করে। শিশু হাসপাতালের দুজন কর্মী এ কাজের জন্য টাকা লেনদেনসহ নমুনা সংগ্রহ সংক্রান্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করে, যাদের এ সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। শিশু হাসপাতাল গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জানুয়ারি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে শিশুহাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটি ইতোমধ্যেই তাদের প্রতিবেদন পেশ করেছে। এর আগে তদন্ত কমিটি ১ জানুয়ারি থেকে অভিযুক্ত ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেওয়া শুরু করে। সবার বক্তব্য বিশ্লেষণ করে হাসপাতালের দুজন কর্মচারীকে দায়ী বলে মনে করে কমিটি। যার মধ্যে একজন হাসপাতালের এপিডেমিওলজিস্ট কিংকর ঘোষ এবং অপরজন জুনিয়র অফিসার অ্যাডমিন মো. আতিকুল ইসলাম। কমিটি মনে করে, এ দুজনের জন্য হাসপাতালের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। যার দায় তারা এড়াতে পারেন না। এর আগে জেকেজি, রিজেন্টসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ পরীক্ষার নামে অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লা যুগান্তরকে বলেন, তদন্তের কাজ এখনো পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। সব কাজ সম্পন্ন হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের আইন অনুযায়ী উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি। 

সামগ্রিক বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য চূড়ান্ত যাচাইয়ের জন্য হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও সরকারের যুগ্ম সচিব উম্মে সালমা তানজিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি সবকিছু যাচাই-বাছাই করে মতামত দেবেন। সেই মতামতের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তদন্ত কমিটির রিপোর্টে যা আছে : পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রথমেই তাদের সামনে হাজির করেন হাসপাতালের জুনিয়র অফিসার অ্যাডমিন মো. আতিকুল ইসলামকে। কমিটিকে বলেন, তিনি পদ্মা জেনারেল হাসপাতালেও খণ্ডকালীন কাজ করেন। শিশু হাসপাতালের পাশাপাশি সেখানে তিনি কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের কিছু কোভিড-১৯ পরীক্ষা শিশু হাসপাতালের নামে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে করা হতো। এসব পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ, পরিবহণ এবং ডেলিভারিসংক্রান্ত কাজের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত নন। তবে হাসপাতালের এপিডেমিওলজিস্ট কিংকর ঘোষ এ বিষয়ে জাড়িত থাকতে পারেন। পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের টাকা লেনদেনের রসিদে টাকা গ্রহণকারী হিসাবে তার নাম ও স্বাক্ষর থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত কমিটিকে জানান, তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। তবে তার প্রতিস্বাক্ষর নিয়ে তদন্ত কমিটি ওই রসিদের সঙ্গে হুবহু মিল পায়। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে জানতে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সুজন বাবু, নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ ও কংকন রায়ের বক্তব্য নেয়। তারা জানান, হাসপাতালে এপিডেমিউলজিস্ট কিংকর ঘোষের নির্দেশে তারা অন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগে নমুনা সংগ্রহ করতেন। কমিটিকে তারা জানান, কিংকর প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি টিউব নমুনা সংগ্রহের জন্য সরবরাহ করতেন। তবে দু-একটি টিউব নিজের কাছে রেখে দিতেন। 

এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হয়ে বক্তব্য দেন কিংকর। তিনি বলেন, হাসপাতালের পরিচালকের মৌখিক নির্দেশে তিনি ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে শিশু হাসপাতালের রোগী, অভিভাবক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড-১৯-এর পরীক্ষার ব্যবস্থা করতেন। হাসপাতালের বাইরের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ক্ষেত্রেও পরিচালককে জানাতেন। পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের বিষয়ে তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্যের নির্দেশে তিনি এই কাজ সমন্বয় করতেন। প্রতিদিন দু-একটি নমুনা সংগ্রহের টিউব তিনি নিজের কাছে রাখতেন কিনা জানতে চাইলে কমিটিকে বলেন, এটা কোনো বিষয় নয়- এমন টিউব তার কাছে অনেক আছে। অন্যান্য হাসপাতালের নমুনা নিজ নিজ হাসপাতাল থেকে রেফার্ড হয়ে এলেও পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের নমুনা শিশু হাসপাতালের নামে কেন রেফার্ড করা হতো জানতে চাইলে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে জানতে সাবেক উপ-পরিচালক ডা. এজেডএম মশিউল আযমের বক্তব্য নেয়। কারণ ২৩ মে, শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক সার্কুলারে জানায়, শুধু ভর্তি রোগী এবং ফিভার ক্লিনিকের রোগী ছাড়া অন্য রোগীদের নমুনা নিতে হলে উপ-পরিচালকের অনুমতি নিতে হয়। তবে এ উপপরিচালক জানান, হাসপাতালের বাইরের নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে তার কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। কোভিড-১৯ পরীক্ষার কোনো দায়িত্ব তিনি কিংকর ঘোষকে দেননি। এমনকি পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল বা অন্য কোনো হাসপাতালের পরীক্ষা শিশু হাসপাতালের নামে রেফার্ড হওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। 

একই বিষয়ে তদন্ত কমিটি বর্তমান উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকারের বক্তব্য নেন। তিনি জানান, এসব বিষয়ে তার কাছ থেকে কখনোই কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমনকি হাসপাতালের বাইরের কোনো নমুনা সংগ্রহ বা পরীক্ষার বিষয়েও তিনি কিছুই জানেন না। 
এসব বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালকের বক্তব্য নেয় তদন্ত কমিটি। পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ তদন্ত কমিটিকে জানান, শিশু হাসপাতালের ভর্তি রোগী, ফিভার ক্লিনিক ও সেখানে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষা সমন্বয়ের জন্য উপ-পরিচালক, আবাসিক চিকিৎসক ও এপিডেমিওলজিস্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া বাইরের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করাতে হলে উপ-পরিচালকের অনুমতি নিতে হবে। কিংকর ঘোষকে কোভিডকালীন শুধু সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসামগ্রী বিতরণ ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া অ্যাডমিনের জুনিয়র অফিসার মো. আতিকুল ইসলামকে এ সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার বিষয়ে তিনি কোনো নির্দেশ-আদেশ দেননি। তার কাছ থেকে কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি। 

তদন্ত কমিটি চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে পরিচালক অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহার বক্তব্য নেয়। তিনি কমিটিকে বলেন, একজন সংসদ সদস্য পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের দু-একটি পরীক্ষা করে দিতে অনুরোধ করলে তিনি সম্মতি দেন। তবে এ বিষয়ে কিংকর ঘোষকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এমনকি পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের নমুনা শিশু হাসপাতালের নামে রেফার্ড হওয়ার বিষয়েও তিনি অবহিত নন বলে জানান।

Wednesday, May 19, 2021

Laboratory Instruments

 

Torniquet


Test tube Rack


Urine Centrifuge Tube


VDRL Plate


Stop Watch


Syringe


Yellow Tips


Incubator


Lancet




Micropipette


Microscope


Needle


Prothrombin Time Tube/PT Tube


Red Tube/ Serum Tube


Roll Mixer


Lab Rotator


Glass Slide


Spreader


Staining Rack


White Tile/Widal Plate


EDTA Tube



ESR Stand


ESR Tube


ESR Pipette


Funnel


Hotair Oven



3 inch Test Tube


4 insh Test Tube


6 inch Test Tube/Urine Collection Tube


Afendrop


Semi Auto Analyzer (Evolution3000)


Beaker


Black Tile


Blue Tips


Butterfly


Centrifuge Machine


Colorimeter


Conical Flask


Cover Slip


Capillary Tube


Dimond Marker